বিজয়া মেহতা (জন্ম ৪ঠা নভেম্বর ১৯৩৪) একজন প্রখ্যাত ভারতীয় মারাঠি চলচ্চিত্র ও নাট্য পরিচালক এবং অনেকগুলি সমান্তরাল ধারার চলচ্চিত্রের অভিনেতা। নাট্যকার বিজয় তেন্ডুলকার, এবং অভিনেতা অরবিন্দ দেশপাণ্ডে ও শ্রীরাম লাগু র সঙ্গে তিনি মুম্বাই-ভিত্তিক নাট্যদল রঙ্গায়নের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। তিনি পার্টি (১৯৮৪) চলচ্চিত্রে তাঁর প্রশংসিত ভূমিকার জন্য বেশি পরিচিত। এছাড়াও পরিচালক হিসেবে রাও সাহেব (১৯৮৬) এবং পেস্টনজি (১৯৮৮) তাঁকে অনেক পরিচিতি এনে দিয়েছে। থিয়েটার দল, রঙ্গায়ন এর প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হিসাবে তিনি ১৯৬০ এর দশকে পরীক্ষামূলক মারাঠি থিয়েটারের শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিত্ব ছিলেন।
প্রাথমিক জীবন এবং শিক্ষা
বিজয়া মেহতা ১৯৩৪ সালে গুজরাত রাজ্যের বরোদায় একটি চন্দ্রসেনীয় কায়স্থ প্রভু (সিকেপি) পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। জন্মের সময় তাঁর নাম ছিল বিজয়া জয়বন্ত। তিনি মুম্বই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেছিলেন। তিনি দিল্লিতেইব্রাহিম আলকাজি এবং আদি মারজবানের সাথে থিয়েটার নিয়ে পড়াশুনো করেছিলেন।
কর্মজীবন
তিনি ৬০ এর দশকে মারাঠি পরীক্ষামূলক থিয়েটারের এক প্রধান ব্যক্তিত্ব হয়ে উঠেছিলেন। তিনি নাট্যকার বিজয় তেন্ডুলকার, এবং অভিনেতা অরবিন্দ দেশপাণ্ডে ও শ্রীরাম লাগু সহ নাট্যদল, রঙ্গায়ন এর প্রতিষ্ঠাতা সদস্য।
তাঁর মঞ্চ প্রযোজনা সি. টি. খানলকারের এক শূন্য বাজিরাও সমকালীন ভারতীয় থিয়েটারে একটি যুগান্তকারী থিয়েটার হিসাবে বিবেচিত। তিনি বের্টোল্ট ব্রেশ্টের রচনাকে মারাঠি থিয়েটারে নিয়ে এসে ছিলেন। কিছুটা অভিযোজন করে তিনি এনেছিলেন দ্য ককেশীয়ান চক সার্কেল (আজব নয়া বর্তুলাচা), এবং আয়নোস্কোর চেয়ার। দ্য ককেশীয়ান চক সার্কেল (আজব নয়া বর্তুলাচা) থিয়েটারটি জার্মানির সুপরিচিত বার্লিন উৎসবে এবং সুইজারল্যান্ডে উপস্থাপন করা হয়েছিল। দুই স্থানেই এটি অতি প্রশংশিত হয়েছিল।
তিনি ইন্দো-জার্মান থিয়েটার প্রকল্পে জার্মান পরিচালক ফ্রিটজ বেনউইজ এর সাথে সহযোগিতামূলক প্রযোজনা করেছিলেন, জার্মান অভিনেতাদের সাথে ঐতিহ্যবাহী ভাস এর মুদ্রারাক্ষস -এ অভিনয় করেন। পেস্টনজি ছাড়া তাঁর বেশিরভাগ কাজগুলিই তাঁর মঞ্চ নাটকের চলচ্চিত্র এবং টেলিভিশন অভিযোজন।
নির্দেশনায় শ্রেষ্ঠত্বের পুরস্কার হিসেবে তাঁকে ১৯৭৫ সালে সংগীত নাটক অকাদেমি পুরস্কার দিয়ে ভূষিত করা হয়েছিল। ১৯৮৬ সালে তিনি রাও সাহেব (১৯৮৬) চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জিতেছিলেন।
ব্যক্তিগত জীবন
তিনি প্রথমে অভিনেত্রী দুর্গা খোটের পুত্র হারীণ খোটেকে বিবাহ করেছিলেন। তবে তিনি অল্প বয়সেই মারা যান। তখন তাঁদের দুটি পুত্র খুব ছোট ছিল। এরপরেই তিনি ফারুক মেহতাকে বিয়ে করেন।