দুঃখিত। এ কথা কুরআনের কোথাও বলা নেই। তবে এটা ঠিক যে, আল্লাহ অনেক সময় তার প্রিয় বান্দাহদের পরীক্ষা করার জন্য এমন সব অবস্থায় ফেলেন যেগুলো তাদের কাছে আপাতদৃষ্টিতে খারাপ বলে মনে হয়।কিন্তু তারা যদি ওই অবস্থায় ধৈর্য ধারণ করতে পারেন তবেই সে খারাপ অবস্থা তাদের জন্য কল্যাণকর হয়ে যায়।
এ ব্যাপারে আমার আপনার সকলের নবী মুহাম্মাদ (সা) বলেন, "মুমিনের বিষয়টি সত্যিই আশ্চর্যজনক । নিশ্চয়ই তার প্রতিটি অবস্থাই তার জন্য কল্যাণকর।আর এটা মুমিন ছাড়া আর কারও জন্যই নয়। সুতরাং, যখন সে কোন বিপদে পতিত হয় তখন সে ধৈর্যধারণ করে।ফলে সে বিপদ তার জন্য কল্যাণকর হয়ে যায়। আবার যখন তাকে সুখের মধ্যে রাখা হয় তখন সে (আল্লাহর প্রতি) কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করে। ফলে সে সুখও তার জন্য কল্যাণকর হয়ে যায়।"
মানুষকে পরীক্ষার করার ব্যাপারে কুরআন মাজিদে মহান আল্লাহ বলেন,
وَلَنَبْلُوَنَّكُم بِشَيْءٍ مِّنَ الْخَوْفِ وَالْجُوعِ وَنَقْصٍ مِّنَ الْأَمْوَالِ وَالْأَنفُسِ وَالثَّمَرَاتِ ۗ وَبَشِّرِ الصَّابِرِينَ (155) الَّذِينَ إِذَا أَصَابَتْهُم مُّصِيبَةٌ قَالُوا إِنَّا لِلَّهِ وَإِنَّا إِلَيْهِ رَاجِعُونَ (156) أُولَٰئِكَ عَلَيْهِمْ صَلَوَاتٌ مِّن رَّبِّهِمْ وَرَحْمَةٌ ۖ وَأُولَٰئِكَ هُمُ الْمُهْتَدُون
"এবং অবশ্যই আমি তোমাদেরকে পরীক্ষা করব কিছু ভয়, ক্ষুধা এবং জান-মাল ও ফল-ফসলের ক্ষতির মাধ্যমে। তবে সুসংবাদ দাও ধৈর্যধারণকারীদের।যখন তারা কোন বিপদে পতিত হয়, তখন তারা বলে, নিশ্চয়ই আমরা আল্লাহর জন্যই এবং নিশ্চয়ই আমরা সবাই তাঁরই নিকট ফিরে যাবো।তারাই সে সমস্ত লোক, যাদের প্রতি আল্লাহর অফুরন্ত অনুগ্রহ ও রহমত রয়েছে এবং তারাই সুপথপ্রাপ্ত।"
সুরা বাকারা।
উপরের আলোচনা থেকে বোঝা গেল আল্লাহ যা করেন তা তখনই তার বান্দাহর জন্য কল্যাণকর হয় যখন সে তাতে ধৈর্য ধারণ করে। আর এটা কেবল তার প্রতি বিশ্বাস স্থাপনকারী বান্দাহদের জন্যই প্রযোজ্য।